Saved articles

You have not yet added any article to your bookmarks!

Browse articles
Newsletter image

Subscribe to the Newsletter

Join 10k+ people to get notified about new posts, news and tips.

Do not worry we don't spam!

GDPR Compliance

We use cookies to ensure you get the best experience on our website. By continuing to use our site, you accept our use of cookies, Privacy Policy, and Terms of Service.

যে দশটি উপায়ে ভালো থাকবে হার্ট

মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে হৃদপিণ্ড বা হার্ট অন্যতম। এটি প্রতিনিয়ত অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সারা শরীরে পাঠিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু আজকের ব্যস্ত ও উদ্বেগপূর্ণ জীবনে হৃদরোগের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই সময় থাকতে আমাদের সজাগ হওয়া জরুরি। নিচে হৃদয় সুস্থ রাখার দশটি কার্যকর উপায় আলোচনা করা হলো—

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হেঁটে নেওয়া বা হালকা দৌড়, সাইক্লিং, সাঁতার বা যেকোনো শারীরিক কসরত করলে হৃদপিণ্ড সচল ও মজবুত থাকে। এতে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান
ফল, সবজি, পূর্ণশস্য, বাদাম, মাছ ও অলিভ অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট পরিহার করুন।

৩. ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে বিরত থাকুন
ধূমপান হৃদরোগের বড় কারণ। এটি রক্তনালিকে সংকুচিত করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৫. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ হৃদরোগের অন্যতম গোপন কারণ। মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, বই পড়া বা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ও শান্তিপূর্ণ ঘুম হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের ঘাটতি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে হৃদপিণ্ডের উপর চাপ ফেলে।

৭. রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন
উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতক। তাই নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।

৮. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) বাড়লে হৃদপিণ্ডে চর্বি জমে যেতে পারে। তাই চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে HDL (ভাল কোলেস্টেরল) বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস হার্টের ধমনীতে ক্ষতি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি।

১০. নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান
সর্বশেষ কিন্তু অতি জরুরি বিষয় হলো নিয়মিত হার্টের পরীক্ষা। ECG, ECHO, ব্লাড প্রেসার, সুগার, কোলেস্টেরল ইত্যাদি টেস্ট করিয়ে ঝুঁকির পূর্বাভাস পাওয়া যায়।


হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা মানেই জীবনকে দীর্ঘ, সুন্দর ও কর্মক্ষম করে তোলা। অল্প কিছু অভ্যাস বদলেই আমরা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পারি। আজ থেকেই সচেতন হই, কারণ হৃদয় একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আর সহজে ফিরিয়ে আনা যায় না।



Related to this topic: