চাকরির নামে প্রতারণা , প্রতারিতদের অর্থ ফেরাল চাপড়া থানা

নদীয়া জেলার চাপড়া থানার দক্ষ আইনি পদক্ষেপের ফলে সম্প্রতি তিনজন ভুক্তভোগী প্রতারিত অর্থ ফেরত পেয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি অভিযোগ এনসিআরপি পোর্টালের মাধ্যমে থানায় জমা পড়ে এবং যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থার ফলে ভুক্তভোগীদের অর্থ ফেরানো সম্ভব হয়েছে।

প্রথম ঘটনায়, বাহিরগাছি গ্রামের বাসিন্দা ওয়াসিম আকরাম মণ্ডল (পিতা: আসাদুল মণ্ডল) অভিযোগ করেন যে তিনি ০১.০৬.২৫ তারিখে একটি ভালো চাকরির প্রলোভনে পড়ে ৩৭,০০০ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এনসিআরপি অ্যাকনোলেজমেন্ট নম্বর ৩৩২০৬২৫০০৪৩৪১৪ অনুসারে, অভিযোগটি ০৯.০৬.২৫ তারিখে জমা হয় এবং ১৮.০৭.২৫ তারিখে ১৮,০০০ টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত আসে।

দ্বিতীয় ঘটনায়, মালামগাছার বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষ (পিতা: গোবিন্দ ঘোষ) জানান, ০৭.০৩.২৫ তারিখে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির অফার পেয়ে তিনি ৪,৫৫০ টাকা প্রদান করেন। পরে জানতে পারেন সেটি ছিল একটি প্রতারণামূলক প্রস্তাব। ১০.০৩.২৫ তারিখে তিনি এনসিআরপি নম্বর ৩৩২০৩২৫০০১৭৩৩৪-এ অভিযোগ দাখিল করেন। চাপড়া থানার আইনি পদক্ষেপে ৩১.০৭.২৫ তারিখে তাঁর সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

তৃতীয় ঘটনায়, বড় আন্দুলিয়ার বাসিন্দা ফিরোজ দর্জি (পিতা: রজন দর্জি) অভিযোগ করেন, ২৫.০৫.২৫ তারিখে তিনি ভুল করে একাউন্টে ২,০০০ টাকা পাঠান, এবং পরে বুঝতে পারেন সেটি প্রতারণার ঘটনা ছিল। ০৩.০৬.২৫ তারিখে তিনি এনসিআরপি নম্বর ২৩২০৬২৫০০২৮৯৬৩-এ অভিযোগ জানান। ১৫.০৭.২৫ তারিখে তাঁর পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

এই তিনটি ঘটনায় চাপড়া থানার আইনি পদক্ষেপ ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকায় সন্তুষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারা। থানার তরফে জানানো হয়েছে, এমন প্রতারণার ঘটনায় সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত থানায় অভিযোগ জানান, তাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়া সম্ভব হবে।